স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র নিহত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী এবং চঞ্চলসহ সকল হত্যার বিচার দাবি করেছেন চেম্বার অব কমার্সের নতুন সভাপতি ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান। একই সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতা নিহত হওয়ার ঘটনারও বিচার চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স আর কোনোদিনও রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। গতকাল নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘বিগত সময়ে একটি জিনিস হয়নি। সেই জিনিসটা না হওয়াতে আমরাও লজ্জিত। এর কারণ হলো সময়ের সমস্যা ছিলো। মেধাবী ছাত্র ত্বকী ও চঞ্চল সহ নারায়ণগঞ্জে যতগুলো হত্যা হয়েছে, এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যতগুলো হত্যা হয়েছে, সমস্ত হত্যার বিচার চাই। ব্যবসায়ী হলেও আমরাও মানুষ। তাই মানুষ হিসেবে আমাদেরও বিচারও চাওয়া উচিৎ। হয়তো পরিস্থিতির কারণে বলতে পারিনি। কিন্তু মন সবসময়ই সায় দিয়েছে, রায় দিয়েছে রাব্বি (ত্বকীর বাবা) ভাইয়ের পাশে থাকার। আমি ব্যক্তিগত ভাবে পাশে ছিলাম। রাব্বি ভাই হয়তো জানে। আর রাব্বি ভাই যদি না-ও জানে, তাহলে বিকেএমইএর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহিদুল হক ভূইয়া জানে। আমরা সমস্ত হত্যার বিচার চাই।’
চেম্বার কোনোদিন আর রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার হবে না বলে মন্তব্য করে মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘এটা একটা স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান, চেম্বার শুধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থ এবং সংশ্লিষ্ট কাজের ভিতরেই থাকবে বলে আমি আশা করি। আমরা যখন চেম্বারে ঢুকবো, আমাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকবে না।’
বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জে ভীতিকর পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে উল্লেখ করে মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহি জেলা। এটা ব্যবসায়ী নগর, বন্দর নগর। আমাদের অতীত ইতিহাস রয়েছে। আমরা হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে বসবাস করতাম। আমরা সেই সমাজে থাকতে চাই। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ শুনলে মানুষ ভয় পায়, এমন একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে। না আমরা নারায়ণগঞ্জের মানুষ। আমাদের মন ভালো।’
এদিকে, মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ঘটনায় ওসমান পরিবারের নাম জড়িয়ে আছে। শুরু থেকেই ওসমান পরিবারের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ছে ত্বকীর পরিবার। প্রতি মাসের ৮ তারিখে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের নেতারাও আলোচিত এই হত্যাকাÐের বিচার দাবির পাশাপাশি তীর্যক মন্তব্য করে গেছেন ওসমান পরিবারকে নিয়ে। সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর অভিযোগও প্রভাবশালী ওই পরিবারের কতিপয় সদস্যদের প্রতি।’
২০১৩ সালে সংঘটিত ওই হত্যাকান্ডের এক বছরের মাথায় তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, রফিউর রাব্বিকে শায়েস্তা করতেই হত্যা করা হয়েছে তার ছেলে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে। প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সদস্য সাবেক এমপি শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমান, নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমানসহ তাদের ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের নামও উঠে এসেছিল র্যাবের খসড়া চার্জশিটে। এ নিয়ে জল গড়িয়েছে বহু দূর। গোটা দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অভিযোগের কাঠগরায় দাঁড় করানো হয়েছে শামীম ওসমানকেও। আলোচিত ওই হত্যাকাÐের দীর্ঘ ৮ বছর পর ২০২১ সালের ৬ই মার্চ এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা এবং কিছু ‘তথ্য প্রমাণ’ দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন শামীম ওসমান। তবে, সংবাদ সম্মেলনের ওই ঘোষণা শামীম ওসমানের মুখেই রয়ে গেছে। ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ ২০২৪ সালের ৭ সেপ্টম্বর। আরও এক মাসেরও বেশি সময় আগে শামীম ওসমান তার পরিবার পরিজন নিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন। তবে ত্বকী হত্যা নিয়ে আর সংবাদ সম্মেলন করা হয়নি শামীম ওসমানের।
অভিযোগ ছিলো, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার কারণে ত্বকী হত্যাকাÐের বিচার হয়নি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনার পাশাপাশি শামীম ওসমানও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এতে এই হত্যাকাÐের বিচারের দাবি আরও জোড়ালো হয়ে উঠেছে। চেম্বার অব কমার্স আর কোনোদিন রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার হবে না : মাসুদ
স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের মেধাবী ছাত্র নিহত তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী এবং চঞ্চলসহ সকল হত্যার বিচার দাবি করেছেন চেম্বার অব কমার্সের নতুন সভাপতি ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান। একই সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতা নিহত হওয়ার ঘটনারও বিচার চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স আর কোনোদিনও রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহৃত হবে না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। গতকাল নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘বিগত সময়ে একটি জিনিস হয়নি। সেই জিনিসটা না হওয়াতে আমরাও লজ্জিত। এর কারণ হলো সময়ের সমস্যা ছিলো। মেধাবী ছাত্র ত্বকী ও চঞ্চল সহ নারায়ণগঞ্জে যতগুলো হত্যা হয়েছে, এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যতগুলো হত্যা হয়েছে, সমস্ত হত্যার বিচার চাই। ব্যবসায়ী হলেও আমরাও মানুষ। তাই মানুষ হিসেবে আমাদেরও বিচারও চাওয়া উচিৎ। হয়তো পরিস্থিতির কারণে বলতে পারিনি। কিন্তু মন সবসময়ই সায় দিয়েছে, রায় দিয়েছে রাব্বি (ত্বকীর বাবা) ভাইয়ের পাশে থাকার। আমি ব্যক্তিগত ভাবে পাশে ছিলাম। রাব্বি ভাই হয়তো জানে। আর রাব্বি ভাই যদি না-ও জানে, তাহলে বিকেএমইএর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহিদুল হক ভূইয়া জানে। আমরা সমস্ত হত্যার বিচার চাই।’
চেম্বার কোনোদিন আর রাজনৈতিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার হবে না বলে মন্তব্য করে মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘এটা একটা স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান, চেম্বার শুধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থ এবং সংশ্লিষ্ট কাজের ভিতরেই থাকবে বলে আমি আশা করি। আমরা যখন চেম্বারে ঢুকবো, আমাদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় থাকবে না।’
বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জে ভীতিকর পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে উল্লেখ করে মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ একটি ঐতিহ্যবাহি জেলা। এটা ব্যবসায়ী নগর, বন্দর নগর। আমাদের অতীত ইতিহাস রয়েছে। আমরা হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে বসবাস করতাম। আমরা সেই সমাজে থাকতে চাই। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ শুনলে মানুষ ভয় পায়, এমন একটি ভীতিকর পরিবেশ তৈরী করা হয়েছে। না আমরা নারায়ণগঞ্জের মানুষ। আমাদের মন ভালো।’
এদিকে, মেধাবী ছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যার ঘটনায় ওসমান পরিবারের নাম জড়িয়ে আছে। শুরু থেকেই ওসমান পরিবারের দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ছে ত্বকীর পরিবার। প্রতি মাসের ৮ তারিখে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের নেতারাও আলোচিত এই হত্যাকাÐের বিচার দাবির পাশাপাশি তীর্যক মন্তব্য করে গেছেন ওসমান পরিবারকে নিয়ে। সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর অভিযোগও প্রভাবশালী ওই পরিবারের কতিপয় সদস্যদের প্রতি।’
২০১৩ সালে সংঘটিত ওই হত্যাকান্ডের এক বছরের মাথায় তদন্তকারী সংস্থা র্যাব সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, রফিউর রাব্বিকে শায়েস্তা করতেই হত্যা করা হয়েছে তার ছেলে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীকে। প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সদস্য সাবেক এমপি শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমান, নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমানসহ তাদের ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের নামও উঠে এসেছিল র্যাবের খসড়া চার্জশিটে। এ নিয়ে জল গড়িয়েছে বহু দূর। গোটা দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অভিযোগের কাঠগরায় দাঁড় করানো হয়েছে শামীম ওসমানকেও। আলোচিত ওই হত্যাকাÐের দীর্ঘ ৮ বছর পর ২০২১ সালের ৬ই মার্চ এই বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করা এবং কিছু ‘তথ্য প্রমাণ’ দেয়ার কথা জানিয়েছিলেন শামীম ওসমান। তবে, সংবাদ সম্মেলনের ওই ঘোষণা শামীম ওসমানের মুখেই রয়ে গেছে। ক্যালেন্ডারের পাতায় আজ ২০২৪ সালের ৭ সেপ্টম্বর। আরও এক মাসেরও বেশি সময় আগে শামীম ওসমান তার পরিবার পরিজন নিয়ে দেশ থেকে পালিয়েছেন। তবে ত্বকী হত্যা নিয়ে আর সংবাদ সম্মেলন করা হয়নি শামীম ওসমানের।
অভিযোগ ছিলো, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনার কারণে ত্বকী হত্যাকাÐের বিচার হয়নি। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনার পাশাপাশি শামীম ওসমানও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এতে এই হত্যাকান্ডের বিচারের দাবি আরও জোড়ালো হয়ে উঠেছে।